মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গের মাপ নেয়ার পদ্ধতি | Dress Making and Tailoring

মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গের মাপ নেওয়ার পদ্ধতি (The Method of Measuring Different Parts of the Human Body)

এই ক্লাসটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (Bangladesh Technical Education Board) কর্তৃক পরিচালিত ভোকেশনাল ট্রেডসমূহের (Vocational Trades) আওতাধীন একটি বেসিক ট্রেড শর্ট কোর্স (Basic Trade Short Course)-এর অংশ।

উক্ত পাঠ ড্রেস মেকিং অ্যান্ড টেইলারিং (Dress Making and Tailoring) কোর্সের সপ্তম অধ্যায় (Chapter 7) অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে।

এই অধ্যায়ে মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গের সঠিক মাপ নেওয়ার পদ্ধতি, প্রয়োজনীয়তা, ও এর ব্যবহারিক প্রয়োগ নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়, যা একজন দক্ষ দর্জি বা পোশাক প্রস্তুতকারীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গের মাপ নেয়ার পদ্ধতি

 

 

✂️ কাটিং সেলাইয়ের জন্য শরীরের মাপ নেওয়ার পদ্ধতি

পোশাক তৈরি করার সময় দু’টি বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ:

১। কাটিং (Cutting)

২। সেলাই (Sewing)

সঠিক কাটিংয়ের জন্য প্রয়োজন হয় শরীরের নিখুঁত মাপ। এই মাপ সাধারণত ফিতার সাহায্যে নেওয়া হয়। ফিতা দিয়ে কীভাবে, কোন স্থান থেকে কোন পর্যন্ত মাপ নিতে হবে, তার বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলো।

 

শরীরের বিভিন্ন অংশের মাপ নেওয়ার নিয়ম

মাপের নাম মাপ নেওয়ার পদ্ধতি
ছাতি (Chest) বুক ও পিঠের চারদিকে, বগলের নিচ দিয়ে ফিতা ঘুরিয়ে মাপ নেওয়া হয়। ফিতা ও শরীরের মাঝে এক আঙুল রাখতে হয়।
ঝুল (Length) জামার জন্য: গলার পাশে কাঁধ থেকে নিচে, প্যান্ট/সায়া: কোমর থেকে নিচে প্রয়োজন অনুযায়ী।
গলা (Neck) গলার নিচের অংশ ঘিরে, ফিতা ও গলার মাঝে এক আঙুল রেখে।
পুট (Shoulder) ঘাড়ের মাঝখান থেকে কাঁধের শেষ পর্যন্ত মাপ।
পুটহাতা (Sleeve) পুটের শুরু থেকে কাঁধ ও হাতের ওপর দিয়ে কবজি পর্যন্ত মাপ। হাফহাতা হলে কনুই পর্যন্ত।
জামার মুহুরি (Cuff) হাতের কবজির চারপাশে ফিতা ঘুরিয়ে।
সেন্ত (Back Length) ঘাড় থেকে কোমর পর্যন্ত পিঠ বরাবর মাপ। ব্লাউজে ব্যবহার হয়।
কোমর (Waist) কোমরের চারপাশে ফিতা ঘুরিয়ে, ভেতরে চারটি আঙুল দিয়ে মাপ নিতে হয়।
পাছা (Hip) পাছার চারপাশ ঘুরিয়ে, ফিতা ও শরীরের মাঝে এক আঙুল দিয়ে।
হাই (High/Seat Rise) নাভি থেকে দুই পায়ের মধ্য দিয়ে পেছনের কোমর পর্যন্ত মাপ।
হাঁটু (Knee) হাঁটুর চারপাশে, একটু ঢিলা দিয়ে মাপ নিতে হয়।
প্যান্টের মুহুরি (Pant Bottom) হাঁটুর মাপ থেকে ২-৩ ইঞ্চি কম।
আন্ডারপ্যান্ট (Underpant) কোমর, পাছা ও ঝুল মাপ লাগে। কাট সাধারণত পায়জামার মতো, কিন্তু লম্বা হাঁটুর কিছুটা ওপর পর্যন্ত।

 

অতিরিক্ত টিপস:

  • সবসময় ফিতা ও শরীরের মাঝে আঙুল রেখে মাপ নেওয়া উচিত যাতে পোশাকে স্বস্তি থাকে।
  • ফিতা যেন টানটান বা অতিরিক্ত ঢিলা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
  • ব্লাউজ, শার্ট, প্যান্ট, আন্ডারওয়্যার – প্রতিটি পোশাকের জন্য মাপ আলাদা ভাবে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

 

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

 

ব্লাউজ (Blouse) তৈরির জন্য মাপ নেওয়ার পদ্ধতি :

ব্লাউজ তৈরির জন্য সঠিকভাবে মাপ নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। মাপ নেওয়ার সময় ভুল হলে ব্লাউজ আরামদায়ক হবে না এবং সঠিক ফিট আসবে না। নিচে ব্লাউজ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় মাপসমূহ ও সেগুলো নেওয়ার নিয়ম বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো:

 

ব্লাউজ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় মাপসমূহ

মাপের নাম ইংরেজি পরিভাষা মাপ নেওয়ার নির্দেশনা
ছাতি Bust স্তনের সবচেয়ে উঁচু অংশে ফিতা ঘুরিয়ে মাপ নিতে হবে। খুব টাইট বা ঢিলে করা যাবে না।
কোমর Waist কোমরের সবচেয়ে সরু অংশে ফিতা দিয়ে মাপ নিতে হবে।
সেস্ত বা ব্যাক Across Back / Shoulder Width এক কাঁধ থেকে আরেক কাঁধ পর্যন্ত পিঠ বরাবর পরিমাপ করতে হয়।
গলার পরিধি Neck Circumference গলার চারপাশে ফিতা ঘুরিয়ে পরিমাপ করতে হয়। গলায় এক আঙুল জায়গা রাখতে হয়।
পুট বা হাতার দৈর্ঘ্য Sleeve Length কাঁধ থেকে কব্জি পর্যন্ত পরিমাপ করতে হয় (যতটা লম্বা হাতা চান)।
পুটহাতা Armhole Depth বাহুর গহ্বর বরাবর ফিতা ঘুরিয়ে মাপ নেওয়া হয়।
মুহুরি বা হাতার মুখ Sleeve Opening হাতার মুখে (কব্জির চারপাশে) ফিতা দিয়ে পরিমাপ নেওয়া হয়।

 

মাপ নেওয়ার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা:

  1. সোজা দাঁড়িয়ে মাপ নিতে হবে — মাপ নেওয়ার সময় ব্যক্তি যেন নড়াচড়া না করেন, এতে সঠিক মাপ পাওয়া সহজ হয়।
  2. সাধারণ পাতলা জামা পরে মাপ নেওয়া ভালো — ভারী কাপড় বা পোশাক সঠিক মাপ নিতে বাধা দিতে পারে।
  3. মেট্রিক স্কেল বা ইঞ্চি ফিতা ব্যবহার করুন — সাধারণত ইঞ্চিতে মাপ নেওয়া হয়।
  4. ফিটিং অনুযায়ী অতিরিক্ত ছাড় — প্রতিটি মাপে সাধারণত ১-২ ইঞ্চি সেলাইয়ের সুবিধার্থে ছাড় দিতে হয়।
  5. নোটবুকে মাপ লিখে রাখুন — প্রতিটি মাপ সঠিকভাবে লিখে রাখলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

 

পরামর্শ

  • অভিজ্ঞ কারিগরের মাধ্যমে মাপ নেওয়া সবচেয়ে ভালো।
  • প্রথমবার ব্লাউজ তৈরির আগে একটি ট্রায়াল ব্লাউজ বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
  • ব্লাউজের ডিজাইন (গলা খোলা, গভীরতা, হাতার ধরন) অনুযায়ী অতিরিক্ত কিছু মাপ লাগতে পারে।

 

সালোয়ার ও কামিজ তৈরির জন্য মাপ নেওয়ার পদ্ধতি:

সাধারণ নির্দেশনা:

  • মাপ নেওয়ার সময় কোমল পরিমাপক টেপ ব্যবহার করুন।
  • দেহে খুব আঁটসাঁট বা ঢিলা করে মাপ না নিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় রাখুন।
  • গ্রাহক যেন সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে এবং স্বাভাবিক নিঃশ্বাস নেয়।

 

✂️ কামিজের জন্য প্রয়োজনীয় মাপসমূহ

মাপের নাম বিবরণ
লম্বা (Length) গলার ওপর থেকে কামিজের প্রান্ত পর্যন্ত
ছাতি (Bust) স্তনের সর্বোচ্চ পরিধি
কোমর (Waist) কোমরের চারপাশের পরিধি
নিতম্ব (Hip) নিতম্বের সর্বোচ্চ অংশের পরিধি
কাঁধ (Shoulder) এক কাঁধ থেকে আরেক কাঁধ পর্যন্ত
হাতা (Sleeve Length) কাঁধ থেকে হাতার শেষ পর্যন্ত
বাহু (Arm Round) বাহুর প্রস্থ বা পরিধি
গলা (Neck Depth) সামনে ও পিছনে গলার গভীরতা
আর্মহোল (Armhole Depth) কাঁধ থেকে বগল পর্যন্ত মাপ

 

সালোয়ারের জন্য প্রয়োজনীয় মাপসমূহ

মাপের নাম বিবরণ
লম্বা (Length) কোমর থেকে পায়ের গোঁড়ালি পর্যন্ত
কোমর (Waist) কোমরের পরিধি
নিতম্ব (Hip) নিতম্বের পরিধি
থাই (Thigh Round) উরুর চারপাশের পরিধি
মোহুরি (Ankle) গোড়ালির প্রান্তের পরিধি
উদারতা বা ঢল (Seat Width) হাঁটার সুবিধার্থে কতটুকু ঢল প্রয়োজন
জাঙিয়া দৈর্ঘ্য (Crotch Length) কোমর থেকে পায়ের সংযোগস্থল পর্যন্ত দৈর্ঘ্য

 

পরামর্শ:

  • কামিজের গলার ডিজাইন এবং হাতার ডিজাইন অনুযায়ী আলাদা মাপ প্রয়োজন হতে পারে (যেমনঃ বেল হাতা, থ্রি-কোয়ার্টার হাতা ইত্যাদি)।
  • সালোয়ারের ঢল বা নকশা যদি পাটিয়ালা বা চুড়িদার হয়, তবে কাপড় এবং মাপের ধরণ বদলে যাবে।
  • ফিতা দিয়ে মাপ নেয়ার সময় মাপটিকে লেখার সাথে সাথে চেক করা উচিত।

 

ফুলপ্যান্ট তৈরির জন্য মাপ নেওয়ার পদ্ধতি

ফুলপ্যান্ট বা ট্রাউজার তৈরি করতে হলে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে সুনির্দিষ্টভাবে মাপ নেওয়া জরুরি। মাপ সঠিক না হলে প্যান্টটি পরিধানে অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়াতে পারে। নিচে মাপ নেওয়ার ধাপগুলো বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো।

 

প্রয়োজনীয় মাপসমূহ

মাপের নাম ইংরেজি নাম ব্যাখ্যা
কোমর Waist কোমরের সবচেয়ে সরু অংশ থেকে পরিমাপ নিতে হয়
পাছা Hip পেছনের সর্বোচ্চ প্রশস্ত অংশ, দাঁড়িয়ে থাকাকালীন মাপ নেওয়া উত্তম
প্যান্টের পূর্ণ দৈর্ঘ্য Full Length কোমর থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত
উরু Thigh কুঁচকি থেকে নিচের দিকের সর্বোচ্চ মোটা অংশে
হাঁটু Knee হাঁটুর চারপাশ
গোড়ালি/মুঠ Bottom/Hem পায়ের গোড়ালির চারপাশ
সামনের উচ্চতা Front Rise কোমরের সামনে থেকে কুঁচকি পর্যন্ত
পেছনের উচ্চতা Back Rise কোমরের পেছনের দিক থেকে কুঁচকি পর্যন্ত
ইনসিম Inseam কুঁচকি থেকে গোড়ালি পর্যন্ত
আউটসিম Outseam কোমর থেকে গোড়ালি পর্যন্ত (বাহির দিক দিয়ে)

 

মাপ নেওয়ার সময় করণীয়

  1. নরম টেপ মেজার ব্যবহার করতে হবে।
  2. মাপ নেওয়ার সময় ব্যক্তি যেন স্বাভাবিকভাবে দাঁড়িয়ে থাকে।
  3. দেহের সাথে খুব টাইট বা খুব ঢিলাওভাবে মাপ না নেওয়া উত্তম।
  4. মাপগুলো কাগজে লিখে রাখতে হবে—সেন্টিমিটার বা ইঞ্চি—একক উল্লেখসহ।

 

✂️ অতিরিক্ত টিপস

  • যারা মোটা বা রোগা তাদের জন্য লুজিং বা ফিটিং এলাউন্স যোগ করতে হয়।
  • প্যান্টে যদি পকেট, প্লিট বা বেল্ট দেওয়া হয় তাহলে সেগুলোর জন্য অতিরিক্ত মাপের প্রয়োজন হয়।
  • চাইলেই একটি ফিটিং প্যান্ট কপি করে নতুন কাপড়ে মাপ নিতে পারেন।

 

পায়জামা তৈরির জন্য মাপ নেবার পদ্ধতি

পায়জামা তৈরি করার জন্য সঠিক মাপ নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যাতে পরে পায়জামাটি আরামদায়ক এবং সুন্দর ফিট হয়। নিচে ধাপে ধাপে পায়জামার বিভিন্ন অংশের মাপ নেওয়ার পদ্ধতি দেওয়া হলো:

প্রয়োজনীয় মাপসমূহ

অংশের নাম মাপ নেওয়ার পদ্ধতি
কোমর (Waist) কোমরের চারপাশ মেপে নিতে হবে, সাধারণত পায়জামার কোমর লাগানো হয় ইলাস্টিক অথবা ড্র কর্ড দিয়ে।
হিপ (Hip) নাভির নিচ থেকে পায়জামার প্রস্থ অনুযায়ী নিত হবে, যেখানে কোমর থেকে নিতব্য বেশি বেলুন বা সোজা ডিজাইন হবে।
পায়ের দৈর্ঘ্য (Length) কোমর থেকে গোড়ালির শেষ পর্যন্ত মাপ নিতে হবে।
থাই (Thigh) উরুর সবচেয়ে মোটা অংশের চারপাশ মাপ নিতে হবে।
হাঁটু (Knee) হাঁটুর চারপাশ মাপ নিতে হবে, যাতে পায়জামার হাঁটু অংশ আরামদায়ক হয়।
গলু (Cuff) পায়ের গোড়ালি বা গলুর চারপাশ মাপ নিতে হবে, বিশেষ করে যদি গলুটা টাইট বা কাঁটানো হয়।

 

মাপ নেওয়ার বিস্তারিত নির্দেশিকা

  1. কোমর মাপ: কোমরের চারপাশের মাপ নিন। যদি ইলাস্টিক ব্যান্ড ব্যবহার করেন, তাহলে কিছুটা বেশি মাপ নেয়া যেতে পারে যাতে পায়জামা আরামদায়ক হয়।
  2. হিপ মাপ: কোমরের নিচ থেকে নিত (hip) পর্যন্ত চারপাশের মাপ নিন। পায়জামার মোটা বা ঢিলেঢালা অংশ থাকলে এই মাপটা একটু বড় রাখা হয়।
  3. পায়ের দৈর্ঘ্য: কোমর থেকে পায়ের গোড়ালির শেষ পর্যন্ত মাপ নিন। মাপ নেয়ার সময় মাপ নেওয়ার ব্যক্তি দাঁড়িয়ে থাকবে।
  4. থাই মাপ: উরুর মোটা অংশের চারপাশ মাপ নিন, যাতে পায়জামা তেমন জায়গা দেয়।
  5. হাঁটু মাপ: হাঁটুর চারপাশের মাপ নিতে হবে যাতে হাঁটুতে আরামদায়ক হয়।
  6. গলু মাপ: পায়ের গোড়ালির চারপাশ মাপ নিন। এই অংশটি যদি টাইট বা স্ট্রেচেবল হয়, তার জন্য মাপ সঠিক রাখা জরুরি।

 

অতিরিক্ত টিপস

  • মাপ নেওয়ার সময় মাপ নেওয়া ব্যক্তিকে সাধারণ পোশাক বা পাতলা কাপড় পরিধান করানো উচিত, যাতে সঠিক মাপ নেওয়া যায়।
  • পায়জামার ডিজাইন অনুযায়ী একটু বেশি বা কম মাপ নেওয়া যেতে পারে, যেমন ঢিলা বা সোজা পায়জামা।
  • ইলাস্টিক ব্যান্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোমর মাপ থেকে কিছুটা কম কাপড় নেয়া যেতে পারে কারণ ইলাস্টিক প্রসারিত হবে।

 

সায়া বা পেটিকোট তৈরির জন্য মাপ নেবার পদ্ধতি

পেটিকোট বা সায়া হলো নারীসাধারণের ব্যবহৃত একটি অন্তর্বাসী পোশাক যা শাড়ির নিচে পরে রূপসজ্জা ও আরামের জন্য ব্যবহৃত হয়। সঠিক মাপ নিয়ে পেটিকোট তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যাতে এটি আরামদায়ক হয় এবং শাড়ির নীচে সুন্দরভাবে বসে।

প্রয়োজনীয় মাপসমূহ

মাপের নাম মাপ নেবার পদ্ধতি
কোমরের পরিধি (Waist) কোমরের সবচেয়ে সরু অংশের চারপাশ মাপুন।
পেটির দৈর্ঘ্য (Length) কোমর থেকে পায়ের গোড়ালির উপর পর্যন্ত মাপ নিন।
হিপের পরিধি (Hip) কোমর থেকে নিচে সেরা গালদার চারপাশ মাপুন (প্রয়োজনে)।

 

মাপ নেবার ধাপসমূহ

১. কোমরের পরিধি:

  • মাপ নেওয়ার জন্য কোমরের প্রাকৃতিক বেঁকন বা সরু অংশে একটি নমনীয় মাপনী ফিতা (measuring tape) পেঁচিয়ে পরিধি নিন। ফিতা যেন খুব বেশি টাইট বা ঢিলা না হয়।

২. দৈর্ঘ্য:

  • কোমর থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত মাপ নিন।
  • চাইলে পেটিকোটকে একটু নিচে বা ওপরও কাটতে পারেন, তবে সাধারণত গোড়ালির ঠিক উপরের অংশেই দৈর্ঘ্য নেয়া হয় যাতে হাঁটার সময় সায়াটি দৃষ্টিনন্দন ও আরামদায়ক হয়।

৩. হিপের পরিধি (ঐচ্ছিক):

  • যদি পেটিকোট হিপ পর্যন্ত আঁটসাঁট বা ফিটিং হয়, তবে হিপের চারপাশও মাপ নিন।
  • তবে অধিকাংশ পেটিকোট কোমর থেকে শুরু করে নিচ পর্যন্ত ঢিলা ধাঁচের হয়, তাই হিপের মাপ প্রয়োজন হয় না।

 

অতিরিক্ত টিপস:

  • মাপ নেওয়ার সময় অবশ্যই সোজা দাঁড়িয়ে থাকতে হবে এবং ফিতা ঢিলা বা বেশি টাইট না হওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
  • পেটিকোটের কোমর অংশে সাধারণত ইলাস্টিক ব্যান্ড বা দড়ি লাগানো হয়, তাই কোমরের মাপ একটু ঢিলা রাখলেও সমস্যা হয় না।
  • দৈর্ঘ্য ঠিক মতো মাপার জন্য পায়ের গোড়ালি ঠিকঠাক চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
  • পেটিকোট তৈরির জন্য সাধারণত মসৃণ ও হালকা কাপড় ব্যবহার করা হয় যা শাড়ির নিচে আরামদায়ক ও নরম লাগে।

 

সংক্ষেপে:

  • কোমরের পরিধি +
  • দৈর্ঘ্য (কোমর থেকে গোড়ালি) +
  • (ঐচ্ছিক) হিপের পরিধি

এই মাপগুলো সঠিকভাবে নিলে পেটিকোট তৈরি করা সহজ ও আরামদায়ক হবে।

 

 

 

মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গের মাপ নেয়ার পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত ঃ

 

আরও দেখুন

Leave a Comment