কাপড়ের লে তৈরির শর্তাবলি আলোচনা ক্লাসটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের, ভোকেশনাল শিক্ষার,ক্লোদিং-১ (১৯৫৪)।
কাপড়ের লে তৈরির শর্তাবলি আলোচনা
কাপড়ের লে কত প্রকার?
কাপড়ের লে- কে প্রধানত দুটি পদ্ধতিতে ভাগ করা যায় যেমনঃ
- কাপড়ের গঠনের উপর ভিক্তি করে
- কাপড় বিছানোর দিকের উপর ভিত্তি করে
কাপড়ের গঠনের উপর ভিক্তি করে লে কত প্রকার?
কাপড়ের গঠনের উপর ভিক্তি করে লে দুই প্রকারঃ
- সোজা লে
- ধাপবিশিষ্ট লে
সোজা লে কি?
এ প্রকারের লে এর মধ্যে কাপড়ের প্রতিটি প্লাই মার্কারের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী পূর্ণ দৈর্ঘ্যে বিছানা হয়।
ধাপবিশিষ্ট লে কি?
এ প্রকারের লে এর মধ্যে কাপড়ের প্লাই মার্কারের দৈর্ঘ্যে বিছানা হয় না। অর্থাৎ ধাপে ধাপে সাজানো হয়। ধাপ বিশিষ্ট লে এর জন্য ভিন্ন ধরনের মার্কারের প্রয়োজন হয়। এ ধরনের লে এর ব্যবহার খুবই কম, কারণ হল কাপড়ের অপচয় বেশি হয় এবং লে তৈরি করা কিছুটা জটিল।
কাপড় বিছানোর দিকের উপর ভিত্তি করে লে কত প্রকার?
কাপড় বিছানোর দিকের উপর ভিত্তি করে লে তিন প্রকারঃ
- ডান থেকে বামে বিছানো লে
- ডান থেকে ডানে বিছানো লে
- জিগজ্যাগ লে
ডান থেকে বামে বিছানো লে কি?
ডান থেকে ডানে বিছানো লে কি?
এ ধরনের লে-ও চওড়া এবং খোলা কাপড়ের জন্য সুবিধাজনক। কাপড়ের প্লাই এর সস্মুখদিক জোড়ায় জোড়ায় মুখোমুখি বিছানো হয় এবং লে তৈরির জন্য কাপড়ের রোলকে প্রতিটি প্লাই কাপড় বিছানোর জন্য পূনরায় প্লাই বিছানো আরম্ভ স্থলে ফিরে আসতে হয়।
জিগজ্যাগ লে কি?
এ ধরনের লে তৈরির জন্য মার্কারের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী কাপড় এক মাথা হতে বিছানো আরম্ভ করে অপর মাথায় পৌঁছে কাপড়ের প্রান্ত না কেটে ধরে রাখা হয় এবং কাপড় বিছানো আরম্ভ করে অপর মাথায় পৌঁছে কাপড়ের প্রান্ত না কেটে ধরে রাখা হয় এবং কাপড় বিছানো চলতে থাকে। আর এভাবে জিগজ্যাগ লে তৈরি করা কাপড় বিছানো চলতে থাকে। এভাবে জিগজ্যাগ লে তৈরি করা হয়। জিগজ্যাগ লে পোশাকশিল্পে বহুল ব্যবহৃত, তবে এসিমেট্রিক কাপড়ের জন্য এ ধরনের লে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।
