আজকে আমরা ব্যবহারিক : কাপড়ের ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স নির্ণয়করণ আলোচনা করবো। যা টেক্সটাইল টেস্টিং অ্যান্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল ৩ এর ব্যবহারিক অংশের অন্তর্গত।

ব্যবহারিক : কাপড়ের ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স নির্ণয়করণ (Determine the water resistance of fabric)
ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স
ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স বলতে আমরা পানি প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকে বুঝি। অন্য ভাষায় আমরা বলতে পারি ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স হলো এমন একটা পদ্ধতি যেটা কিছু সময় পর্যন্ত পানি প্রতিরোধ করতে পারে। এটা যার সম্পূর্ণ পানি প্রতিরোধ পদ্ধতি বুঝায় না।
উদ্দেশ্য
১। কাপড় এর ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স নির্ণয় করা।
২। কাপড়ের গুণাগুণ যাচাই করা।
৩। ক্রেতার চাহিদা পূরণ করা।

পানির রেজিস্ট্যান্স বা রিপেলেন্সি পরিমাপের পদ্ধতিসমূহ (Methods of measurement of water resistance or repellency)
পানির প্রতিরোধ ক্ষমতা পরিমাপের পদ্ধতিগুলো নিম্নরূপ :
১. দি ওয়েটিং টাইম টেস্ট (The wetting time test)
২. নি স্প্রে টেস্ট (The spray test)
৩। নিউ ড্রপ পেনিট্রেশন টেস্ট (The drop penetration test)
8. দি বান্ডেসম্যান টেস্ট (The Bundesmann test)
৫. দি শার্লি হাইড্রোস্ট্যাটিক প্রেসার টেস্ট (The shirley hydrostatic pressure test)
৬. অ্যাবজর্পশন টেস্ট (Absorption test)

দি স্প্রে টেস্ট (The spray test)
এ পদ্ধতিতে কাপড়ের ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স পরিমাপের জন্য যন্ত্রে একটি স্প্রে নজেল (Spray nozzle) থাকে যার দ্বারা কৃত্রিম বৃষ্টিপাত করানো হয়। এখানে কাপড়ের নমুনাকে ৬ ইঞ্চি। ব্যাসবিশিষ্ট এবং ৪৫° কোণে আনত একটি হুপ (Hoop) এর সাথে আটকানো থাকে।
স্প্রে নজেলের উপরে একটি ফানেল (Funnel) থাকে যার মধ্যে ৭০°F তাপমাত্রার ২৫০ সিসি পানি রাখা হয়। এ পানি নজেলের সাহায্যে নিচে রক্ষিত কাপড়ের উপর স্প্রে করা হয়। স্প্রে করার পর স্যাম্পল হোল্ডারটি নমুনাকে একটি কঠিন পদার্থের সাথে আস্তে আস্তে ৬ বার আঘাত করে বাড়তি পানি ফেলে দেয়া হয়। তারপর কাপড়ের পৃষ্ঠকে বাহ্যিকভাবে পরীক্ষা করা হয় এবং কাপড়ের অবস্থা কী হলো তা নিম্নোক্ত রেটিং (Spray ratting) এর সাহায্যে জানা যায়।

১০০ → কাপড়ের উপরের পৃষ্ঠ ভিজে নি।
১০ → কাপড়ের উপরের পৃষ্ঠ বিভিন্ন স্থানে সামান্য ভিজেছে।
৮০ → কাপড়ের উপরের পৃষ্ঠ শুধুমাত্র যে স্থানে পানি স্প্রে করা হয়েছে সে স্থানে ভিজেছে।
৭০ → আংশিকভাবে কাপড়ের উপরের পৃষ্ঠের সম্পূর্ণ ভিজেছে
৫০ → কাপড়ের উপরের পৃষ্ঠের সম্পূর্ণ অংশ ভালভাবে ভিজেছে।
০ → কাপড়ের উপরের ও নিচের উভয় পৃষ্ঠের সম্পূর্ণ অংশ ভালভাবে ভিজেছে।
এভাবে কমপক্ষে ৫টি পরীক্ষা করা হয় এবং প্রত্যেক পরীক্ষার জন্য নিকটবর্তী রেটিং নির্ণয় করা হয়। তারপর এ পাঁচটি পরীক্ষার গড় বের করা হয় এবং কাপড়ের ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স বা ওয়াটার রিপেলেপি বিবেচনা করা হয়।
সাবধানতা :
১। নমুনাটিকে যন্ত্রের উপর সঠিকভাবে স্থাপন করতে হবে।
২। কাপড় হতে ফানেলের দূরত্ব যেন 6″ এর বেশি না হয়।
৩। নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি নিতে হবে।

ব্যবহারিক সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ মৌখিক প্রশ্নোত্তর
১। ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স নির্ণয়ের পদ্ধতিগুলোর নাম লেখ।
উত্তর: ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স নির্ণয়ের পদ্ধতিগুলো হল
১। দি ওয়েটিং টাইম টেস্ট
২। দি স্প্রে টেস্ট
৩। দি ড্রপ পেনিট্রেশন টেস্ট
৪। দি বাডসম্যান টেস্ট
৫। দি শার্লি হাইড্রোস্ট্যাটিক প্রেসার টেস্ট
৬। অ্যাবজর্পশন টেস্ট।
২। ওয়েটিং টাইম বলতে কী বুঝ?
উত্তর: বড় কনট্রাক্ট অ্যাঙ্গেলের কিছু সময়ের মধ্যে কনট্রাক্ট অ্যাংঙ্গেল ১০° তে নেমে আসার প্রয়োজনীয় সময়কেই ওয়েটিং টাইম বলে।
৩। কাপড় ওয়াটার প্রুফিং করার জন্য কী দিয়ে ট্রিট করা হয়।
উত্তর: চর্বি, মোম বা রাবার যারা ট্রিট করা হয়।
৪। কোন কাপড়ের জন্য ওয়াটার প্রুফিং প্রয়োজন?
উত্তর: ত্রিপল, হোজ পাইপ ইত্যাদি কাপড়ের
৫। ওরেটিং টাইম টেস্ট কী উপাদানের মিশ্রণে সংঘটিত হয়?
উত্তর: পানি ও বায়ু এবং কাপড়
আরও দেখুনঃ